Full width home advertisement

বাংলাদেশ

বিদেশ

ধর্ম

স্বাস্থ্য

কৃষি ও অর্থনীতি

Post Page Advertisement [Top]

 


বিটিবি নিউজ ডেস্ক: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফল কাউন্সিলরদের স্বর্ণপদক দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা শূন্য থাকবে, সেখানকার কাউন্সিলরদের এই পদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

গতকালবৃহস্পতিবার (দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৮তম করপোরেশন সভায় এই ঘোষণা তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলরদের আরও উৎসাহী করার জন্যই এই ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের।

ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে একযোগে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা ও র‍্যালি আয়োজন করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, গত বছর ঈদে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে আমরা সফল হয়েছিলাম। পূর্বঘোষিত আট ঘণ্টারও কম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এ বছর আমাদের টার্গেট ছয় ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা। সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্ন কর্মী সার্বক্ষণিক মাঠে থাকতে হবে। আমি নিজেও মাঠে থাকবো।

কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসিতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ওয়ার্ড-ভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করে দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ঈদে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের সময়ে কোথাও যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ‘কুইক রেসপন্স টিম’ প্রস্তুত রাখাসহ প্রকৌশল বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখন থেকেই ড্রেন ও ক্যাচপিট পরিষ্কার রাখতে হবে।

সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান, কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Bottom Ad [Post Page]