Full width home advertisement

বাংলাদেশ

বিদেশ

ধর্ম

স্বাস্থ্য

কৃষি ও অর্থনীতি

Post Page Advertisement [Top]

 

বিটিবি নিউজ ডেস্ক:যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অভিযোগ করেছেন যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ব্যক্তিগত ওয়াশরুমে আড়িপাতার যন্ত্র বসিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য সফরকালে ওই যন্ত্র স্থাপন করেছিলেন তিনি।

বরিস জনসন তার ‘আনশিলড’ নামের আত্মজীবনীতে এই গুরুতর অভিযোগ করেন। আত্মজীবনীটি আগামী সপ্তাহে (১০ অক্টোবর) বাজারে আসবে। সেখানে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ব্যক্তিগত টয়লেটে ব্রিটিশ নিরাপত্তা কর্মীরা একটি মাইক্রোফোন পান। এর কিছুক্ষণ আগেই ওই টয়লেট প্রবেশ করেছিলেন নেতানিয়াহু। তবে তিনি এও বলেছেন যে এটি কাকতালীয় ব্যাপার হতে পারে আবার নাও হতে পারে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই ধরনের আরো অভিযোগ আছে। ২০১৮ সালে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী ভাবেন, তা জানার জন্য হোয়াইট হাউসে আড়িপাতা যন্ত্র বসানো হয়েছিল। পলিটিকোর মতে, তিনজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে মোবাইল টেলিফোন ট্র্যাফিক নিরীক্ষণের জন্য ডিজাইন করা ওয়াশিংটন ডিসিতে কয়েকটি ক্ষুদ্র ডিভাইস স্থাপনের পেছনে ইসরাইলকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অভিযোগগুলো তার তথাকথিত মিত্রদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের গুপ্তচরবৃত্তির তৎপরতা নিয়ে আলোচনার পুনর্জাগরণ করেছে। এছাড়া নানা সময় মিত্রদের বিভিন্ন তথ্য গ্রহণ করারও অভিযোগ করেছে। যেমন সাবেক মার্কিন নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিশ্লেষক ১৯৮০ এর দশকে ইসরাইলকে গোপন তথ্য দেয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। ২০০৮ সালে মার্কিন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বেন অমি কাদিশ ইসরাইলকে শ্রেণিবদ্ধ মার্কিন সামরিক নথি প্রদানের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। এছড়া হলিউডের প্রযোজক আরনন মিলচান ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে ইসরাইলের গুপ্তচর হিসেবে নিজেকে স্বীকার করেছেন। তিনি ইসরাইলের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রযুক্তি অর্জনে সহায়তা করেছেন।

জনসনের অভিযোগ নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে যে ইসরাইল বাস্তবেই পশ্চিমা দেশগুলোর প্রকৃত মিত্র কিনা। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইহুদিবাদী চরমপন্থা ব্রিটিশ গুপ্তচরদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে ওঠে। যেমনটি ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের একটি নিবন্ধে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Bottom Ad [Post Page]