Full width home advertisement

বাংলাদেশ

বিদেশ

ধর্ম

স্বাস্থ্য

কৃষি ও অর্থনীতি

Post Page Advertisement [Top]

 

বিটিবি নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ‌‘অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার নেই। কোথাও মিছিল করার চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে অতীত কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে। অপছন্দ করার কারণে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়নি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোথাও মিছিল-মিটিং করতে পারবে না। কোথাও মিছিল করলে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আজ শনিবার দুপুরে রংপুরে এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মহানগর পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।


আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, একটা বেআইনি চর্চা শুরু হয়েছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ছাত্রলীগ হিসেবে মাস্তানি করবে। হল দখল, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অন্যায়-অপকর্ম করবে। এক পর্যায়ে ওরাই বিসিএস দিয়ে পুলিশ, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আসবে। তাদের অনেক ক্ষমতা। তাদের একদিকে রাজনীতির ক্ষমতা, অন্যদিকে পুলিশ, প্রশাসনের ক্ষমতা। এই চর্চা বা ব্যবস্থাপনার সংস্কার করা না হলে যে সংস্কার শুরু হয়েছে তাতে ভালো প্রশাসন পাওয়া যাবে না।


আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে বৈধভাবে অস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্ট শক্তি। সে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে। নতুন করে অস্ত্র নীতিমালা তৈরি হচ্ছে, যাতে কেউ জনগণের জান-মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। পুলিশকে তার পুরোনো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে এবং চলমান সংকট কাটাতে সবার সহযোগিতা চাই।


আইজিপি আরো বলেন, ‘এখন আমরা জনগণের আস্থার পুলিশ তৈরি করতে চাই। পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে ধারাবাহিকভাবে বদলি করা হচ্ছে। এই পদে যারা যোগ্য তাদের আনা হচ্ছে।’


আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করছে। এ মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা জড়িত ছিল। গণ-অভ্যুত্থানের আগে নেতৃত্ব পর্যায়ের গুটিকয়েক বিপথগামী কর্মকর্তার কারণে পুলিশ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবের মামলাগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোনো মামলা থাকবে না। এ মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘অনেক পুলিশ সদস্য অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ না করে কোনো কোনো দলের হয়ে নিজেদের উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। এক দল ক্ষমতায় এসে বাকি দলকে শোষণ করবে এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না।’  


সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম।


এর আগে বেলা ১১টার দিকে আইজিপি ময়নুল ইসলাম আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। সেইসঙ্গে আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Bottom Ad [Post Page]