প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক দুই উপদেষ্টার, ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা, সংবিধান বাতিলসহ পাঁচ দাবি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল দিনভর উত্তাল ছিল রাজধানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর, শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর এবং বঙ্গভবনের সামনে ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এমন উত্তাল পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে বিকালে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি যখন জোরদার হয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গতকাল বিকালে প্রধান বিচাপতির দপ্তরে এ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র বৈঠকের বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানান, প্রায় ৪০ মিনিটের মতো প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকসূত্র জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে কে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান বিচারপতি আইজিপি, র?্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নেওয়া হয়। আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দিয়ে স্পেশাল রেফারেন্স পাঠানোর পরই উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জোরালো হওয়ার পর থেকে সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে আবারও সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন দুই উপদেষ্টা। একই দাবিতে আজ ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করবেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আদিলুর রহমান। গত রাতে একদল বিক্ষোভকারীকে বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বঙ্গভবনের ভিতরে চলে যান এবং বাইরে সেনাসদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এদিকে বঙ্গভবনের সামনে আহত পাঁচজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন শ্যামপুর বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বিশাল (২৪), কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ খান (২০), হকার শফিকুল ইসলাম (৪৫), অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তার স্টাফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ (২৫) ও ভিডিও জার্নালিস্ট রিপন রেজা (২৮)। রাজু আহমেদ বলেন, বঙ্গভবনের সামনে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। সে সময় একটি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। চলতি সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি ঠিক করে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে বিদায় করা হবে- আন্দোলনকারীদের রাতে এমন বার্তা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং আরেক নেতা সারজিস আলম। এই আশ্বাস পেয়ে টানা কয়েক ঘণ্টার আন্দোলন শেষে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সরে যেতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম বঙ্গভবনের সামনে আসেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করা হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আমাদের সহযোগী। তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে- আন্তর্জাতিক মহলে এমনটা প্রচারের সুযোগ পাবে শত্রুরা। তাই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করা হবে। তিনি বলেন, সেনাপ্রধান এখন দেশে নেই। তিনি দেশে আসার পর সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হবে। যাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকবে না। এই সপ্তাহের মধ্যেই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ঠিক করে মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করা হবে। সারজিস আলম বলেন, একটি যুদ্ধে কৌশল হলো গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গতকাল ফ্যাসিস্টের দোসর রাষ্ট্রপতির যে কথাটি শুনেছিলাম, তাতে আমাদের রক্ত টগবগিয়ে মাথায় উঠে যায়। এই রক্তের ক্ষত এখনো ভাসছে। আমরা যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনই তার পদত্যাগ করিয়ে ফেলি তাহলে রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হতে পারে। আমরা কৌশলের কাছে হেরে না যাই। আমাদের আন্দোলনে ভিতর ঢুকে দু-একজন ফ্যাসিস্টদের দোসর উসকানি দিতে পারে। কারণ, দেশকে অস্থিতিশীল দেখানো গেলে তারা ফায়দা লুটতে পারবে। তাই আমাদের সঙ্গে যাদের মতপার্থক্য রয়েছে তারা রাজপথে এসে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা দুই দিন সময় দিয়েছি। সবকিছু ভেবেই সময় দেওয়া হয়েছে। এখানে যারা এসেছেন সবাইকে শ্রদ্ধা জানাই। বিশেষ করে এখানে গণ অভ্যুত্থানে আহতদের ইমোশনকে শ্রদ্ধা জানাই। হেডডাউন করা শ্রদ্ধা জানাই আপনাদের। যৌক্তিক সিদ্ধান্তের জন্য আপনাদের সামনে দিয়ে পেছনের লাইনে দাঁড়িয়ে আমরা আপনাদের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাব। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক জানান, বঙ্গভবনের সামনে থেকে পাঁচজন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে তিনজনের পায়ে আঘাত রয়েছে। গ্রেনেডের শব্দে দুজন কানে আঘাত পেয়েছেন। জরুরি বিভাগ থেকে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। রাত সাড়ে ১২টায় গণ অধিকার পরিষদের নেতা (রেজা কিবরিয়া কমিটির) যুগ্ম সম্পাদক তারেকের নেতৃত্বে কিছু লোকজন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা রাষ্ট্রপ্রতির পদত্যাগ চেয়ে নানা স্লোগান দেন। এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ও সংবিধান বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত গণজমায়েত কর্মসূচিতে এসব দাবি তুলে ধরেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের পাঁচ দফা দাবি না মানা হলে আমরা আবার রাজপথে নামব। সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর উত্থাপিত দাবিগুলো হলো- বিদ্যমান সংবিধান অনতিবিলম্বে বাতিল করে ’২৪-এর গণ অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন সংবিধান লেখা। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে এই সপ্তাহের মধ্যে আজীবন নিষিদ্ধ করা। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা। এই সপ্তাহের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের আলোকে ‘প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিক’ ঘোষণা করা এবং ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও ২০২৪ সালে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করা। এই তিন নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং তারা যেন কখনো এ দেশে নির্বাচন করতে না পারে, সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আগামীকালের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা এই শহীদ মিনার থেকে আমাদের বিপ্লব শুরু করেছিলাম। সেই বিপ্লবের ভয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। আর এখন, আপনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছেন। আপনি ৫ আগস্ট যা বলেছেন, তা এখন কার নির্দেশে ভুলে গিয়ে নতুন কথা বলছেন? আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই- খুনি হাসিনা যেভাবে পালিয়েছেন, চুপ্পুকেও (সাহাবুদ্দিন) পালাতে হবে। দেশের প্রশ্নে, দশের প্রশ্নে বিপ্লবীরা সব সময় মাঠে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আবারও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের চোখ দিতে প্রস্তুত, পা দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। ছাত্রলীগ যেভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, তাদের উত্থান সহ্য করা হবে না। চুপ্পুর এই নয়-ছয় কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। খুনি হাসিনার মতো তাকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে গণজমায়েতে যোগ দেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যদেরও এতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভও করেন। এ সময় তারা ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; ছাত্রলীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; স্বৈরাচারের দোসরেরা হুঁশিয়ার সাবধান; অবৈধ রাষ্ট্রপতি, মানি না মানব না; আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ কর করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগানে এলাকা কম্পমিত করে তোলেন। এর আগে দুপুরে বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেন ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে আসা জনতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আসেন তারা। হাই কোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন মোড় পর্যন্ত এগিয়ে যান তারা। এর পাশেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে আরেকটি পক্ষকে। গতকাল বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা মঞ্চ’ ও ‘৩৬ জুলাই মঞ্চ’ ব্যানারে তিনটি সংগঠনের ছাত্র-জনতা বঙ্গভবন অভিমুখে যাত্রা করেন। তারা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন, শিক্ষাভবন, সচিবালয় অতিক্রম করে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি, ড. ইউনূসকে বিপ্লবী সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়া, সংবিধান বাতিল করে নতুনভাবে সংবিধান রচনা করা, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানান। একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, টাঙ্গাইল শহীদ মিনার চত্বর ও দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড় থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। তার পদত্যাগে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন।
জানা গেছে, এমন আলটিমেটামের পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী জানান, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আদিলুর রহমান বুধবার (আজ) বিকাল ৫টায় ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বলে কোনো সংগঠন নেই। এটি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, খুনি ছাত্রলীগ। এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে কোনো কালক্ষেপণ করা চলবে না, নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতেই হবে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন