ইসলামে মুসলমানদের নববর্ষ পালন কিংবা ১২ মাসের Concept এবং নববর্ষ উপলক্ষে কোন কিছু করা প্রসঙ্গেঃ
ইসলাম ও চন্দ্রমাসঃ
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
*"প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২টি, যা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী সেই দিন থেকে চালু আছে যে দিন আল্লাহ তায়ালা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন।..." *
(তাওবা : ৩৬)।
সুবহানআল্লাহ্ এটা চন্দ্র মাসের কথা বলা হয়েছে।
আরো ইরশাদ করেন,
"লোকেরা আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি তাদের বলে দিন এটা মানুষের (বিভিন্ন কাজকর্মের) এবং হজের সময় নির্ধারণ করার জন্য। (সুরা বাকারা : ১৮৯)
আরো ইরশাদ করেন, ‘ এবং যাতে তোমরা বছর-সংখ্যা (মাসের) হিসাব জানতে পার। আমি সব কিছু পৃথক পৃথকভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছি। ' (সুরা বনি ইসরাইল : ১২)
আমাদের দৈনন্দিন ইবাদত সূর্যের সাথে সংলিষ্ট , কিন্তু মাসিক বা বাৎসরিক হিসেব চাঁদের সাথে। যেরকম রমজান মাস আরবিতে এটিকে শাহরি রমজান বলে, এছাড়া পবিত্র কোরআনে হজের মাস হচ্ছে ‘আশহুরুল হুরুম' ও ‘আশহুরুল হজ'। আইয়ামে বীজের, আরাফার, আশুরার রোজা সবই চন্দ্র মাসের হিসেবে।
নারীদের ইদ্দত মূলত চন্দ্র মাসের সাথে জড়িত,ইংরেজি মাসের ভিত্তি নয়। লক্ষণীয় যে নারীদের মাসিক চন্দ্র মাসের সাথে মূলত জড়িত (যদিও এটা হিসেব রাখা কঠিন)। অর্থাৎ ৩৩ মাসে ৩৪ বার হয়। যাকাত ও অনেক ওলামায় কেরাম চন্দ্র মাসের কথাবলেছেন। কাফফারার সিয়াম অনুরুপ।
ইসলাম ও নববর্ষঃ
ইংরেজিত নয়ই আরবী মাসে ইসলামে নববর্ষ উপলক্ষে কিছু নেই।
31st Night উদজাপনে অন্যতম একটা বিষয় হচ্ছে অশ্লীলতা।
ইসলামে শালীনতাঃ
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
" আর যিনার ধারে-কাছেও যেও না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।"
(১৭ঃ৩২)
ইসলামে ব্যাভিচারের পথের সকল দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইসলামের নিয়ম কোন বাড়িতে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মু'মিন পুরুষ ও নারীদেরদের কে চক্ষু অবনত রাখতে বলা হয়েছে, এছাড়াও রাস্তায় সাহাবীদের রাস্তায় বসা থেকেও বিরত থাকতে বলেছেন। যদি বসেনও তাহলে রাস্তার হক দিয়ে বসতে বলেছেন।
এছাড়াও মুমিনদের নারীদেরকে (৩৩ঃ৩০) নিজেদের উপর জিলবাব দিতে বলা হয়েছে।
এবং নারীদের পর্দার অন্যতম একটা অংশ মুখমন্ডল ঢাকা, এছাড়াও তাদের কোমল কন্ঠে পরপুরুষের সঙ্গেকথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে, সুগন্ধি দিয়ে বাহিরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও একইসাথে পুরুষ ও মহিলাদের চলাচল বা অবস্থান করতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে দেবর মৃত্যু তুল্য। এছাড়া কোন নারীর মাহরাম ছাড়া একাকী অবস্থান করা কিংবা হজ্জে যাবার ক্ষেত্রেও নিষেধ আছে। লক্ষণীয় যে ফেসবুকেও আমাদের যে চ্যাট করা হয় সেক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। এটাও একাকী অবস্থানের সমপর্যায়ের।
বুখারীর একটা হাদীসঃ
আমর ইবনু মাইমূন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি জাহিলীয়্যাতের যুগে দেখেছি, একটি বানরী ব্যাভিচার করার কারণে অনেকগুলো বানর একত্র হয়ে প্রস্তর নিক্ষেপে তাকে হত্যা করল। আমিও তাদের সাথে প্রস্তর নিক্ষেপ করলাম।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৮৪৯)
একটা অবলা প্রাণীর যদি এরকম নৈতিকতা ও সামাজিকতা থাকতে পারে, সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তো মানুষের অনেক বেশী উত্তম হবার কথা ছিল।